Urine problem in human body দীর্ঘক্ষণ প্রসাব আটকে রাখলে মানব দেহে যে মারাত্বক ক্ষতি হয়, সেগুলির কিছু প্রাণ নাশক ও হয়ে থাকে।
বিশেষত পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি আক্রান্ত হয় মূত্রনালী সংক্রমণ জনিত সমস্যায়। মূত্রনালীতে মানবদেহের কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে যা প্রসাব এর মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে মানবদেহ কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সাধারনত মূত্রনালীতে সংক্রমণ এর ঝুঁকি বাড়ে জল কম খাওয়ার জন্য বা অপরিষ্কার জামাকাপড় পরার জন্য অথবা দীর্ঘক্ষণ মূত্রথলিতে প্রসাব আটকে রাখলে। দীর্ঘক্ষণ প্রসাব আটকে রাখলে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত তার বংশবিস্তার করে যা ডেকে আনে নানা রোগের সংক্রমণ।
প্রসাব চেপে রাখলে কিডনি তে জমতে পারে পাথর সময় মতো মূত্র ত্যাগ করতে না পারলে শরীর থেকে বজ্র পদার্থ গুলো বেড়াতে পারে না এর ফলে শরীর জমতে থাকে বজ্র যা কিডনি তে জমে কঠিন হয়ে পাথর এ পরিনত হয়।
দীর্ঘক্ষণ প্রসাব আটকে রাখলে মূত্রথলির দেওয়াল দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সাধারনত মূত্রথলি পূর্ণ থাকে তখনই যখন যখন এটি প্রসারিত হয় আবার প্রসাব ত্যাগএর পর এটি পুনরায় তার নিজের অবস্থায় ফিরে আসে কিন্তু ক্রমাগত মূত্র আটকে রাখা হলে এটি সংকুচিত হয়ে নিজের আকারে আর ফিরে আসতে পারে না ফলে মূত্রথলির আকার বেড়ে যায় এবং মূত্রথলির দেওয়াল দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়াও ক্রমাগত এই বদভ্যাস এর ফলে দুর্বল হতে পারে পেলভিক ফ্লোর
যার জন্য ভবিষ্যৎ এ প্রসাব ধরে রাখতে সমস্যা হয় এর ফলে হাঁচি, কাশির সময় অজান্তেই কিছুটা প্রসাব বেরিয়ে আসবে। দীর্ঘক্ষণ প্রসাব আটকে রাখলে মূত্রাশয় বা গোপনাজ্ঞ ইনফেকশন সৃষ্টি হতে পারে।
ইনফেকশন হওয়ার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো
১. প্রসাব এর সময় জ্বালাপোড়ার অনুভব।
২.বার বার প্রসাব এর বেগ আশা এবং কিন্তু যে পরিমাণ বেগ আসবে সেই পরিমাণ প্রসাব না হওয়া।
৩. তলপেটে তীব্র ব্যথার অনুভূতি।
৪. প্রসাবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়া
৫. প্রসাবের রং পরিবর্তন হওয়া কিছুটা ধূসর বর্নতে পরিনত হওয়া।
৬. প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
আপনার যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মখীন হতে হচ্ছে তাহলে অতিসত্তর ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন।
একজন সুস্থ মানুষের দিনে কম করে ৮ থাকে ৯ বার প্রসাব এ যাওয়া উচিত যদি না বেগ পেয়ে থাকে তাও ৪ ঘণ্টা অন্তর একবার করে প্রসাব করা উচিত এতে সংক্রমণ এর ঝুঁকি কমায়।