Rice Water Toner For Skin Benefits ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান দিয়েই পেতে পারেন কোরিয়ান গ্লাস ত্বক

Rice Water Toner For Skin Benefits: মুখ চকচক করবে এতো সকলেই চান। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চামড়া কুঁচকে যায়। চামড়া কুঁচকে গেলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে। তাই মুখের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল করতে নানা প্রসাধনী মাখেন অনেকে। কেউ নিয়মিত ফেসিয়াল করান, তবেতার ফল দীর্ঘমেয়াদী হয় না। ঘরে কয়েকটি উপাদান দিয়েই পেতে পারেন কোরিয়ান গ্লাস ত্বক। একেবারে ঝকঝক করবে।

রাইস ওয়াটারের উপকারিতা গুলি হল

১. রাইস ওয়াটারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হতে পারে।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে রাইস ওয়াটারে যা ত্বক পরিষ্কার করে।

৩. প্রদাহ বিরোধী উপাদান রয়েছে রাইস ওয়াটারে, যা ত্বকের একাধিক সমস্যা রোধ করে।

৪. রাইস ওয়াটার ব্যবহারে ত্বকের লাল ভাব দূর হয়, পাশাপাশি ব্রণর সমস্যাও কমে। এবং ত্বককে ময়শ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করে।

৫. প্রাকৃতিক টোনারের কাজ করে রাইস ওয়াটার, যা পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে, এবং বার্ধক্য রোধ করতে পারে।

৬. ব্রণর পর ত্বকে অনেক সময় গ্রন্থি বড় হয়ে যায়, তা রোধ করে এই রাইস ওয়াটার।

 

রাইস ওয়াটার টোনার কীভাবে বানাবেন?

রাইস ওয়াটার টোনার বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে রাইস ওয়াটার টোনার বানাতে হবে। কী সেই পদ্ধতি?

এক কাপ চাল নিন এবং জলে ধুয়ে নেওয়ার পর ওই চালের মধ্যে ৩ কাপ জল মেশান । ৩০ মিনিট চাল ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর জল ছেঁকে নিয়ে একটি কাচের শিশিতে ঢেলে রাখুন।

একটি পাত্রে ১/৩ কাপ রাইস ওয়াটার নিন, তার মধ্যে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, লাগবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অলিভ ওয়েল। তারপরে ৪টি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে একটি পাত্রে ভরে ফ্রিজে সারা রাত রেখে দিন।

 

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

টোনার ব্যবহারের আগে সবসময় মুখ পরিষ্কার করা জরুরি। তাই প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর একটি কটন প্যাডে টোনার নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ২ মিনিট অপেক্ষা করুন টোনার ত্বকে মিশে যাবে।

দিনে 2বার ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিবর্তন নজরে আসবে।

Leave a Comment