“Peacock Feather” ময়ূরের পালক ঘরের এই জায়গায় রাখলে কি মারাত্মক ফল মেলে জানেন?
শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয় ময়ূরের পালকের কিছু জাদুকরী টোটকা যা জানলে রীতিমতো অবাক হতে বাধ্য হবেন আপনি, ময়ূরের পালক গৃহের এই জায়গায় রাখলে মেলে দূর্দান্ত কয়েকটি উপকার!
ময়ূরের পালক দিয়ে এই টোটকা গুলি একবার করে দেখুন কয়েক দিনের মধ্যে রেজাল্ট পাবেন হাতেনাতে নিশ্চিত গ্যারান্টি দিয়ে বলছেন জোতিষীরা কিন্তু কয়েকটি নিয়ম মেনে রাখতে হবে অবশ্যই!
দেখুন ,
সনাতন হিন্দু ধর্মে ময়ূরের পালকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে মনে করা হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয় এই ময়ূরের পালক। আর তাই সর্বদাই নিজের মাথায় ময়ূরের পালক ধারণ করে রাখেন স্বয়ং ভগবান। ধর্মীয় শাস্ত্রের পাশাপাশি জ্যোতিষ শাস্ত্র, বাস্তুশাস্ত্রে ময়ূরের পালককে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সঠিক নিয়ম মেনে যদি ময়ূরের পালক ঘরে রাখা যায় তাহলে অনেক ধরনের বাস্তুদোষ খুব সহজেই কেটে যেতে পারে। এছাড়া আর্থিক অবস্থা খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং ঘর থেকে দূর হয় অশুভ শক্তি। বাস্তু শাস্ত্রের নিয়ম মেনে যদি বিশেষ কিছু জায়গায় ময়ূরের পালক ব্যবহার করা হয় তাহলে খুব সহজেই পূরন হয় ব্যক্তির মনস্কামনা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারানীর আশীর্বাদে সেই পরিবারে কখনোই দেখা দেয় না দরিদ্রতা। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, সমস্ত দেবতারা এবং নবগ্রহ এই ময়ূরের পালকের সঙ্গে অতপ্রত ভাবে জড়িত। তাই বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে তা থেকে সর্বদাই শুভ ফলাফল লাভ করা যায়।
ঘরের সুখ সমৃদ্ধির জন্য আসলে ময়ূরের পালক ঘরের কোন কোন জায়গায় রাখা উচিত এবং এই পালক ব্যবহার করে কীভাবে সংসারে সুখ শান্তি ও আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা যেতে পারে সেই বিষয়ে জানা যাক।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির কোনদিকে রাখা উচিত ময়ূরের পালক?
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী ময়ূরের পালক সবসময় বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা উচিত, এতে বাড়িতে সর্বদাই সুখ শান্তি বিরাজ করে। কখনো কোনো রকমের অনটন লক্ষ্য করা যায় না।দেখতে সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি ময়ূরের পালকের মধ্যে বহু অলৌকিক গুনাগুন রয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং নিজের মুকুটে ময়ূরের পালক ধারণ করেছিলেন। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপাতে ময়ূরের পালকের মধ্যে রয়েছে কিছু অলৌকিক ক্ষমতা।
বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে কী কী আশ্চর্য ফল লাভ করা যেতে পারে তা আপনারা জেনে নিন।
১) স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মধুর দাম্পত্য বজায় রাখতে:-
মনে করা হয় বেডরুমে একজোড়া ময়ূরের পালক রেখে দিলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সর্বদাই সদ্ভাব বজায় থাকে, অশান্তি কম হয় এমনটা বিশ্বাস করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকলে সেই দ্বন্দ্ব দূর করার জন্য বিয়ের অ্যালবামে একটি ময়ূরের পালক রেখে দিতে পারেন।
২) বিষাক্ত পোকামাকড় দূরীকরণে:-
বাড়িতে থাকা বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় যেমন- টিকটিকি, আরশোলা, ছাড় পোকা দূরীকরণের জন্য ময়ূরের পালক লাগালে কখনোই ঘরের ভেতরে সাপ প্রবেশ করতে পারবে না। আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ময়ূরের পালকের মধ্যে একধরনের বিশেষ তরঙ্গ রয়েছে যা বিভিন্ন পোকামাকড়কে বাড়ি থেকে দূরে রাখতে এবং বাড়ির পবিত্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।
৩) শত্রু নাশে:-
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে কম বেশি শত্রুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময়ে এই সকল শত্রুরা আমাদের জীবনে নানান রকমের ক্ষতি করতে চায়। তবে জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে যদি ময়ূরের পালকের মধ্যে শত্রুর নাম লিখে তা নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া যায় তাহলে খুব সহজেই শত্রুর নাশ হয়।
৪) বাস্তুদোষ খন্ডন করার জন্য:-
বাড়ির বাস্তুদোষ দূরীকরণে ময়ূরের পালক দারুণ ভাবে সাহায্য করে। ময়ূরের পালকের মধ্যে এমন কিছু অলৌকিক শক্তি রয়েছে যা খুব সহজেই পবিত্র করে তোলে বাড়ির পরিবেশকে। এই জন্য তিনটি ময়ূরের পালক, একটি হনুমানজীর ছবি নিয়ে সদর দরজায় লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে একদিকে যেমন সমস্ত বাস্তুদোষ কেটে যাবে ঠিক তেমন ভাবেই ঘর থেকে বিদায় নেবে সমস্ত ধরনের নেতিবাচক শক্তি।
৫) আর্থিক অভাব দূরীকরণে:-
যারা দীর্ঘ সময় ধরে আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত পছন্দের ময়ূরের পালক সমস্যার সমাধান হিসেবে ধরে নিতে পারেন। একটা ৬-৮ ইঞ্চি আয়তনে রুপো অথবা কাঠের বাঁশির সঙ্গে ময়ূরের পালক লাগিয়ে নিন। তারপর বাঁশি টিকে আপনার বাড়ির সিন্ধুকে অথবা ক্যাশ বাক্সের মধ্যে রেখে দিতে পারেন। দেখবেন খুব সহজেই আর্থিক অভাব দূর হয়ে গিয়েছে। যারা অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা বা মানসিক অশান্তিতে ভুগছেন তারা কিন্তু এই ময়ূরের পালক ব্যবহার করতে পারেন। রাত্রিতে ঘুমানোর আগে একটা ময়ূরের পালক বালিশের নীচে রেখে দিন, এর অলৌকিক গুনে খুব সহজেই আপনার মন শান্ত হয়ে যাবে।