Kolkata Tram: ১৮৭৩ সালে কলকাতা -সহ ভারতের ১৫ টা শহরে যাত্রা শুরু করেছিল ট্রাম। তবে কালের নিয়মে গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে অনেক পিছিয়ে পড়ছে ট্রাম যাত্রা। কলকাতা ছাড়া বাকি সমস্ত শহরেই ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রাম চলা।
কলকাতার বুকে আর চলবে না ট্রাম, দাড়ি পড়লো ১৫১ বছরের ঐতিহ্যে। কলকাতায় বন্ধ হল ট্রাম চলাচল। চিৎপুর কিংবা কলেজ স্ট্রিটে আর দেখা যাবে না ট্রামকে।
বন্ধ হওয়ার পথে কলকাতার ঐতিহ্য ট্রাম। বহুবছর ধরে শোনা যাচ্ছিল যেকোনও মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ‘কল্লোলিনী তিলোত্তমার’ নস্ট্যালজিয়া ট্রাম। আগের চেয়ে অনেকাংশে কমে গিয়েছে ট্রাম চলার রাস্তা। ধীরে ধীরে কমেছে শহরে ট্রামের সংখ্যাও।
সূত্র মারফত জানা গেছে দীর্ঘ প্রশাসনিক আলাপ আলোচনার পর অবশেষে শহর থেকে ট্রামকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাত পক্ষে বালিগঞ্জ-ধর্মতলা এবং শ্যামবাজার-ধর্মতলা রুটে যে দুটি ট্রাম চলত তাও বন্ধ করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
কিন্তু কলকাতার বুক থেকে ট্রাম চলাচল যাতে একেবারে তুলে নেওয়া না হয় সেইজন্য হেরিটেজ চিহ্নি হিসেবে একটি ট্রামের জয় রাইডের ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মতলা থেকে ময়দান পর্যন্ত একটি লুপ লাইনে এই জয় রাইড চালানো হতে পারে। আর বাদবাকি সমস্ত ট্রাম লাইন শহরের বুক থেকে তুলে নেওয়া হবে।
সম্প্রতি শহর কলকাতায় ট্রাম পরিষেবা চালু রাখতে একটি জনস্বার্থ মামলা করে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজারস অ্যাসোসিয়েশন। মূলত এই মামলার জেরে সরকারের ট্রাম নীতি জানতে চায় আদালত। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন ” আদালত এই বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছিল আমরা বলেছি ময়দান-ধর্মতলা ছাড়া বাকি কোনো রুটে ট্রাম চলবে না। শহর জুড়ে তুলে নেওয়া হবে ট্রাম লাইন”। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মোটেও একমত নন শহরের বহু ট্রাম প্রেমী। তাদের দাবি ট্রাম হল কলকাতার ঐতিহ্য। ট্রামকে যুগ উপযোগী করে তুলে ধরাই সরকারের কাজ, এই ব্যর্থতা প্রশাসনের।
যে শহরে একসময় গমগম করে ২৭-২৮টা রুটে ট্রাম চলত আজ সেই শহর থেকেই উঠে যেতে চলেছে ট্রাম পরিষেবা। শহরের বুকে আর শোনা যাবে না ট্রামের টিংটিং ঘন্টি। প্রসঙ্গত কলকাতাকে বাদ দিলে ভারতের আর কোনো শহরে ট্রাম চলে না। প্রায় ১৫০ বছর ধরে শহরকে এক টানা পরিষেবা দিয়ে এসেছে ট্রাম, এবার বিদায়।।