Increase your blood level ক্লান্তি কিংবা অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া মূলত রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষন। আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলেই রক্তাল্পতার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন এমন কিছু খাবার রয়েছে যা নিয়মিত তালিকায় রাখলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়তে পারে। প্রতিদিন এই খাবারগুলি আপনিও খাচ্ছেন তো?? দেখে নিন একনজরে।
চিকিৎসকরা বলছেন শরীরে সবথেকে দ্রুত রক্ত বাড়াতে নিয়মিত পাতে রাখুন খুব সাধারণ এই ৭ খাবার। কোনরকম ওষুধ ছাড়াই মাত্র ৭ দিনেই কমবে রক্তস্বল্পতা এবং আপনার শরীরে বাড়বে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। শরীরে রক্ত বাড়াতে এই কয়েকটি খাবার ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ক্লান্তি-দুর্বলতা, বুক ধরফর ও হাঁপিয়ে ওঠার মতো সমস্যা মাত্র ১৫ দিনেই হবে গায়েব। জানুন কোন কোন খাবার রয়েছে এই
১। কুলে খাড়া:- দীর্ঘদিন জল জমা জায়গায় কুলে খাড়া গাছ বেশ ভালো দেখা যায়। খাদ্যতালিকায় কুলে খাড়া রাখলে ১ সপ্তাহে পরিবর্তন বুঝতে পারবেন আপনি। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রন এবং ভিটামিন-সি। এই গাছের পাতা পেস্ট করে নিয়ে জলের সঙ্গে মিশিয়ে অথবা সেদ্ধ করে সেই জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।
২। বিট রুট:- অ্যানিমিয়া সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ খাবার বিট রুট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-বি১২ রয়েছে। এর প্রতেকটি উপাদান শরীরে রক্তের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিট রুটকে ভালো ভাবে ধুয়ে মিক্সচারের মাধ্যমে রস বের করে পান করতে পারেন
৩। খেজুর ও কিসমিস:- খেজুর ও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-কে এবং এ ও ক্যালশিয়াম। সকালে জল খাবারে অথবা বিকালে স্ন্যাক্সে খেজুর বা কিসমিস রাখতে পারেন। এই দুটি খাবার শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
৪। পালংশাক:- শুনতে অবাক লাগলেও পালংশাক হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী। এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে আয়রন এবং ভিটামিন-সি,যা একজন অ্যানিমিয়া রোগীর ভীষণ প্রয়োজন। স্যালাডের সঙ্গে, ডালের সঙ্গে অথবা জুস হিসেবে পালংশাক সহজেই খাদ্য তালিকায় রাখা সম্ভব।
৫। সামুদ্রিক মাছ:- সামুদ্রিক মাছে আয়রন বেশি পরিমাণে থাকে। চিংড়ি, পমফ্রেটের মতো কিছু সামুদ্রিক মাছ এক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন তারা এই মাছ গুলি খেতে পারেন।
৬। ডার্ক চকলেট:- হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমানোর মোক্ষম ওষুধ হল ডার্ক চকলেট। মিল্ক চকলেট বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে কিন্তু ডার্ক চকলেটে সেই ঝুঁকি নেই। বরং এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মিটবে।
৭। কপার যুক্ত খাবার:- কপার শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ। এই খনিজ খেলে আরবিসি সরাসরি তৈরি হয় না। তবে এক্ষেত্রে আরবিসি-কে আয়রন পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে এই খনিজ। মূলত ডিম, মাংসের লিভার এবং ভিটামিন-এ যুক্ত খাবারে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই খাদ্যতালিকায় এই জাতীয় খাবার যোগ করতে ভুলবেন না।