“Health Tips” জিম জয়েন করেছেন তাহলে ভুলেও করবেন না এই কাজ।নয়তো উপকার এর বদলে মিলবে কেবল অপকার।
কি কি কাজ করবেন না জিম জয়েন করলে। আজই জানুন!
আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন প্রত্যেক ব্যক্তি জিমে যান, অতিরিক্ত ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এই জিম। কারণ নিজেকে ফিট রাখতে সঠিক ডায়েট ও শরীর চর্চা হল বেস্ট অপশন। তাছাড়া জিম যেমন শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমন জয়েন্ট এর ব্যথা কমাতেও দারুন ভাবে সাহায্য করে। তবে নতুন জিমে জয়েন করে উৎসাহের বসে অনেকেই বেশ কিছু ভুল করে থাকে।
হ্যাঁ ওজন কমানোর জন্য ও শরীর সুস্থ রাখার জন্য যেমন শরীর চর্চা জরুরি ঠিক কিন্তু প্রথম থেকে মাত্রাতিরিক্ত ওজন তোলা , খুববেশি ডাম্বেল এক্সারসাইজ বা বেশির ভাগ সময় কিছু না খেয়ে থাকা একদমই উচিত নয়। বরং প্রতিদিন আপনি যে ক্যালরি ঝরাচ্ছেন তার যেমন হিসেব রাখতে হবে তেমন ডায়েট চার্ট এও সমতা বজায় রেখে চলতে হবে। প্রতিদিন খাওয়ার এর মধ্যে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেড এর সমতা বজায় রাখতে হবে। শুধু প্রোটিন যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর তেমন সিদ্ধ খাওয়ার এর ফলে যে শরীর পুরো পুষ্টি পায় তেমন নয়। তাই আপনার খাওয়ার মধ্যে সমতা বজায় রাখতে হবে এবং একই ডায়েট দীর্ঘদিন ধরে নয় প্রতি ২.৫ মাস অন্তর অন্তর ডায়েট এ পরিবর্তন আনতে হবে। জিমে প্রথম দিনে গিয়ে কোনো রকম ওয়েট তোলা উচিত নয় কারণ এতে পেশির ক্ষতি হয় এবং পেশির সঠিক গঠনে বাধা তৈরি করে। প্রথমে ফ্রী হ্যান্ড স্ট্রেচিং বেশি করে করতে হবে এরপর ওয়েট লিফটিং এ বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। আসলে প্রথমে বেশি ওজন এর ওয়েট লিফটিং করলে পেশিতে টান লাগতে পারে এরফলে স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই সে ক্ষেত্রে খুবই সাবধান।
অনেকেই টানা জিমে যাওয়ার পর কিছুদিন বিরতি নেয় তারপর আবার জিমে জয়েন করে অনেক কঠিন কঠিন ব্যায়াম শুরু করেন। তবে কঠিন ব্যায়াম যে দ্রুত শরীর এর গঠন পরিবর্তন করে বিষয়টি কিন্তু একদমই ঠিক নয়। নিজের শরীর না বুঝে অহেতুক কঠিন পরিশ্রম করলে খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বেন বা ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এরজন্য খুব বেশি পরিশ্রম না করে নিজের শরীর বুঝে ব্যায়াম করা উচিত।
জিমের ক্ষেত্রে বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
কিন্তু মোবাইল ফোনে অনেকটা সময় দেওয়া যাবে না, প্রতি সেট ব্যায়ামে কম পক্ষে ৯০ সেকেন্ড এর বিরতি নিয়ে আবার শুরু করতে হবে। ব্যায়াম করলে হিদ যন্ত্রের গতি ও শরীরের গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন ঘটে। তবে অনেক সময় বিরতি নিয়ে ব্যায়াম করলে শরীরের গতি হারিয়ে যায়।
জিম গেলে শরীরের পুষ্টির ওপর নজর দিতে হবে
নাহলে ব্যায়াম করে খুব একটা লাভ হবেনা আপনার শরীরে। অপরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত ঘুমের মত সমস্যা জিমের ফলাফলকে দুর্বল করে। শুধু ব্যায়াম করে মাংস পেশির সঠিক গঠন সম্ভব নয় তাই সব ধরনের প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। তাই সব ধরনের খাওয়ার সঠিক ভাবে গ্রহন করতে হবে। আবার নিজের অজান্তে অপ্রুষ্ঠ জনিত খাওয়ারে বাধা তৈরি করতে পারে। তাই পুষ্টিবিদ এর সাথে যোগাযোগ করে সঠিক প্রোটিন নেওয়া জরুরি।
যদিও অনেকে ভাবে জিম করলে ওজন কমে, বিষয়টি কিন্তু একদমই ঠিক নয় বরং ধর্য ধরে নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন কমবে সেইসঙ্গে বডি ওয়েট এর ওপর নির্ভর করে কিছুদিন সময় দিতে হবে।