“Detoxification of kidney” আপনার কিডনি কি সুস্থ আছে? আপনি নিজেই কিভাবে আপনার কিডনির রোগ শনাক্ত করবেন এবং কিডনি কিভাবে পরিষ্কার করলে সারাজীবন আপনার কিডনি সুস্থ থাকবে?
কিভাবে পরিষ্কার করলে কিডনি তে কোনো ধরনের রোগ বা পাথর হবে না ?এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো আজকের এই প্রতিবেদনে।
প্রথমেই আমরা আলোচনা করবো ১৩ টি লক্ষনের কথা। যেগুলোর উপসর্গ প্রকাশ পেলেই বুঝবেন আপনার কিডনি সুস্থ নয়।
১. প্রসাবের সময় ব্যথার অনুভব। অর্থাৎ বিভিন্ন সময় তলপেটে ব্যথার অনুভব।
২. প্রসাবের রঙের পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ প্রসাব ঘন হয়ে যাওয়া।
৩. প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
৪. দেহে বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ ফোলাভাব।
৫. সবসময় শীত অনুভব হওয়া এমনকি প্রচণ্ড গরমের সময়ও যদি আপনার শীত শীত লাগে বুঝবেন আপনার কিডনিতে সমস্যা আছে।
৬. কোনো কিছু তে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া।
৭. বেশিরভাগ সময় বমি বমি ভাব।
৮. ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন ফুসকুড়ি বা এলার্জি অর্থাৎ ত্বকের সমস্যা হওয়া।
৯. পিঠ এবং কোমরের ব্যাথা প্রচণ্ড বেড়ে যাওয়া ফলে কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।
১০. খুসখুসে কাশি সবসময় লেগে থাকা। অল্প কাজে ক্লান্তি অনুভব করা
১১. যদি কিডনিতে পাথর হয় তাহলে অনেক সময় খুব ছোট ছোট পাথর প্রসাবের সঙ্গে নির্গত হয়।
১২. প্রসাবে অতিরিক্ত ফেনা হওয়া।
১৩. প্রসাবের সময় মাথা ঘোরানো। চোখ ফুলে যাওয়া বা চোখের চারপাশে জল জমে যাওয়া। এগুলো কিন্তু কিডনি অসুস্থতার লক্ষণ।
এইরকম কোনো লক্ষণ আপনার দেহে থাক বা না থাক। আপনি আপনার কিডনিকে প্রতিমাসে দুই বার করে পরিষ্কার করুন।
“Detoxification of kidney” কিডনি ডিটোক্সিফাই করার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কম সময়ে যে রেমেডি আপনি প্রস্তুত করবেন। তারজন্য শুধুমাত্র ৩টি উপাদানের প্রয়োজন।
প্রথম বা মুল উপাদান হচ্ছে ধনেপাতা। আর এই সময় ধনেপাতা খুবই সহজলভ্য এছাড়াও ধনেপাতা এখন ১২মাস বাজারে পাওয়া যায়। এইজন্য আমরা ধনেপাতা দিয়েই এই কার্যকরী রেমিডিটি তেরি করার নিয়ম বলছি। রেমিডিটি তেরি করার জন্য আপনার ১০০ গ্রাম ধনেপাতার দরকার। ধনেপাতা গুলো প্রথমে ১০ মিনিট লবণ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এতে ধনেপাতাতে কীটনাশক বা সারের প্রভাব থাকলে তা পুরোপুরি ভাবে কেটে যাবে। এরপর ধনেপাতাটি আরও ভালো ভাবে একবার ধুয়ে ছোট ছোট টুকরোতে কেটে নিন। তারপর ৫০০এমএল বা ১/২ লিটার জলে এটি মৃদু আঁচে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট পরে এতে একটি সম্পূর্ণ লেবু টুকরো টুকরো করে কেটে খোসা সমেত এই ফুটন্ত জলে দিয়ে দিন। তারসঙ্গে দিন এক চামচ গোটা জিরে অর্থাৎ যে জিরে আমরা মসলা হিসেবে খেয়ে থাকি।
এবার আরও ৫ থেকে ৭ মিনিট মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। মনে রাখবেন সমস্ত প্রক্রিয়াটি কিন্তু ঢাকনা দিয়ে করতে হবে। সবসহ এই রেমিডিটি প্রস্তুত করতে আপনার ১৫ থেকে ১৬ মিনিট সময় লাগবে। তারপর এটি প্রস্তুত হলে এটিকে হালকা ঠান্ডা হতে দিন। হালকা ঠান্ডা হলে তো ছেঁকে নিয়ে পান করুন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে সম্পূর্ণ ঠান্ডা না হয়ে যায়, হালকা উষ্ণ গরম ভাবে পান করলে এটি ভালো উপকার মেলে এর থেকে। খালিপেটে মানে দিনের শুরু অর্থাৎ সকালে খালি পেটে খেতে হবে যে তা নয় আপনি দিনের যেকোনো সময় খেতে পারেন রেমিডিটি শুধু মনে রাখতে হবে অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে পান করতে হবে ভরা পেটে নয় এবং কোনো কিছু খাওয়ার ২ঘণ্টা পরে সেবন করতে হবে। আগেই আমরা আলোচনা করেছি এই রেমিডিটি সেবন করতে হবে মাসে মাত্র দুইবার। অর্থাৎ ১৫ দিন পর পর দিনে যেকোনো সময় এই রেমিডিটি একবার সেবন করুন। তাহলে আপনার কিডনিতে কোনো বজ্র প্রদার্থ থাকবে না। কিডনি পরিষ্কার হবে এবং সেইসঙ্গে যদি কিডনিতে কোনো পাথর এর সৃষ্টি হয় তা গোলে যাবে।কিডনি ডিটোক্সিফাই এর এই রেমিডিটি সেবন করলে সেদিন বা তারপরে দুদিন প্রসাবের মাত্রা সামান্য বেড়ে যেতে পারে এবং এই সময় জল স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি পান করতে হবে।
অর্থাৎ যেদিন আপনি এই রেমিডিটি সেবন করবেন সেদিন ১ থেকে ১.৫ লিটার জল বেশি পান করার চেষ্টা করবেন।