“Deep fresh Air” রাতে ফ্রেশ অক্সিজেন দেয় এমন ৮টি গাছ ঘরে রাখুন। এই ৮টি ঘরে রাখার গাছ বাড়িতে থাকলে বাড়ির শিশুদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় অনেকটাই, সাথে বাড়ির বয়স্ক যারা অসুস্থ তাঁদের ক্ষেত্রেও জাদুর মতো কাজ করে এই গাছগুলি।
চিকিৎসকরা বলছেন এর ফলে ভবিষ্যতে অনেক রোগ থেকে বাঁচাতে পারবেন নিজেকে। এই কয়েকটি গাছের মধ্যে অন্তত ৩টি গাছ হলেও রাখুন ঘরে, এতে রোগভোগ দূরে থাকে অনেকটাই।
আজই বাড়িতে নিয়ে আসুন রাতে অক্সিজেন প্রদানকারী এই ৮টি গাছ খুব সহজেই শুদ্ধ হবে আপনার ঘরের বাতাস!
আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য গাছ হল একটি অপরিহার্য উপাদান।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুসারে আমরা সবাই জানি গাছ দিনে অক্সিজেন দেয় এবং রাতে কার্বন ডাই অক্সাইড। কিন্তু এমন কিছু গাছ আছে যা রাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিবর্তে অক্সিজেন দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের গাছগুলি নিজের বাড়িতে রাখতে পারলে সহজেই যেকোনো রোগব্যাধির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।
রাতে অক্সিজেন প্রদায়ী সেই গাছগুলির তালিকা জেনে নেওয়া যাক-
১) অ্যালোভেরা:- অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হল একটি অত্যন্ত উপকারী গাছ। রূপচর্চা হোক বা ওষুধ প্রস্তুত সবরকম কাজে লাগে এটি। ৯টি 𝙰𝚒𝚛 𝙿𝚞𝚛𝚒𝚏𝚢 -এর কাজ করে এই গাছ একাই। যেহেতু এই গাছ রাতে অক্সিজেন প্রদান করে তাই হাঁপানি বা যেকোনো শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে অত্যন্ত কার্যকরী অ্যালোভেরা।
২) স্নেক প্ল্যান্ট:- এই গাছের বায়ু শোষনের ক্ষমতা এতটাই বেশি যে নাসার অন্ধকারেও স্নেক প্ল্যান্ট দেখা যায়। এই গাছ 𝙲𝚊𝚛𝚋𝚘𝚗 𝚍𝚒𝚘𝚡𝚒𝚍𝚎, 𝙵𝚘𝚛𝚖𝚊𝚕𝚍𝚎𝚑𝚢𝚍𝚎 প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস গ্রহণ করে বায়ুকে পরিশোধন করতে সাহায্য করে। আবার পাশাপাশি রাতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন 𝚛𝚎𝚕𝚒𝚎𝚏 করে। তাই শোবার ঘরে তো বটেই বাড়ির যেকোনো জায়গায় স্নেক প্ল্যান্ট রাখতে পারেন।
৩) বাঁশ গাছ:- নাসার 𝙲𝚕𝚎𝚊𝚗 𝙰𝚒𝚛 𝚂𝚝𝚞𝚍𝚢 তে উঠে এসেছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গাছ তা হল বাঁশ গাছ। যে সমস্ত এলাকায় দূষনের পরিমাণ বেশি বা যে সমস্ত বাড়ির ভেন্টিলেশন ভালো নয় তারা বাঁশ গাছ অবশ্যই রোপণ করুন। এই গাছ বিভিন্ন দূষিত কণা, কার্বন ডাইঅক্সাইডের মতো গ্যাসকে শোষণ করে নেয়।
৪) তুলসী:- হিন্দু ধর্মের একটি অত্যন্ত পবিত্র গাছ হল তুলসী। শুধুমাত্র প্রাকৃতিক 𝙰𝚒𝚛 𝙿𝚞𝚛𝚒𝚏𝚢 হিসেবেই নয় বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এটি। দিনে প্রায় ২০ ঘন্টা পর্যন্ত অক্সিজেন দেয় এই গাছ। তাই যেকোনো শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে বাড়িতে অবশ্যই তুলসী গাছ রাখুন।
৫) এরিকা পাম:- অত্যন্ত উপকারী এই গাছটি টলুইন, এসিটোন প্রভৃতির মতো বিষাক্ত পদার্থ খুব সহজেই শোষণ করে নিতে পারে। প্রায় ৩-৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এই গাছ। বাড়ির বাগানে, ছাদে বা 𝙸𝚗𝚍𝚘𝚘𝚛 𝙿𝚕𝚊𝚗𝚝 হিসেবেও এটি রোপণ করতে পারেন। এই গাছটিও রাতে সুন্দর ভাবে অক্সিজেন প্রদান করতে পারে তাই ঘুম আনতে সাহায্য করে।
৬) স্পাইডার প্ল্যান্ট:- রাতে অক্সিজেন প্রদানকারী গাছের তালিকায় থাকা ৬ নম্বর গাছটি হল স্পাইডার প্ল্যান্ট। বৈশিষ্ট্য হল এটি কম আলোতে সালোকসংশ্লেষ সম্পন্ন করতে পারে। তাই এর অক্সিজেন প্রদানের ক্ষমতা সাধারণ গাছের তুলনায় অনেক বেশি। এই গাছ প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার বাতাস পরিচ্ছন্ন করতে পারে। ঘরের মধ্যে 𝙰𝚒𝚛 𝙿𝚞𝚛𝚒𝚏𝚢 হিসেবে রাখতেই পারেন স্পাইডার প্ল্যান্ট।
৭) পিস লিলি:- শুধুমাত্র রাতে অক্সিজেনের ক্ষমতা প্রদানের জন্য নয়, সৌন্দর্যের দিক থেকেও 𝙸𝚗𝚍𝚘𝚘𝚛 𝙿𝚕𝚊𝚗𝚝 হিসেবে আদর্শ পিস লিলি। বাতাসে উপস্থিত টক্সিন নিমেষেই শুষে নিতে পারে এই কালো সবুজ পাতাওয়ালা গাছটি। সমীক্ষা অনুযায়ী রাতে অক্সিজেন দিয়ে এই গাছটি ঘরের আর্দ্রতা ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। ফলে বিভিন্ন শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৮) অর্কিড:- অর্কিডের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। তবে অনেকেই এর গুনাগুন গুলির সম্পর্কে জানেন না। রাতে অক্সিজেন প্রদায়ী আরও একটি গাছ হল অর্কিড। এর ফুল ঘর থেকে জাইলিন নামক দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। তবে কিছু কিছু অর্কিডের আবার ঘ্রাণ তীব্র হওয়ার কারণে এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
তাই বাড়ির ব্যালকনিতে বা ড্রয়িং রুমে এই গাছটি রাখতে হবে।