“Bad effects of geyser” একটি ছোট্ট ভুলে আপনার বাথরুমের গ্রীজার হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর বোমা।৫ টি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখুন। গ্রিজার থেকে বিপদ এড়ান।
শীতকালে গ্রিজার এর ব্যবহার ও চাহিদা দুটোই বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে বাড়তে থাকে গ্রিজার থেকে ঘটা নানান দুর্ঘটনা। গ্রিজার ফেটে যাওয়া বা গ্রিজার এ আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে চলেছে। সর্বপরি এইসব দুর্ঘটনা কেন ঘটে এবং এর থেকে কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় চলুন তা আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক।
এই প্রতিবেদন এ থাকবে আপনাদের জন্য কিছু টিপস
প্রথমত গ্রিজার এর কেন বিস্ফোরণ ঘটে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষেশজ্ঞদের মতে যখন গ্রিজার এর ভিতরের তাপমাত্রা ও চাপ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায় তখন এটি বিস্ফোরণ ঘটায়। এটি তখনই হয় যখন আপনি আপনার গ্রিজার এর সুইচ অন করে রেখে দেন। এতে গ্রিজার এর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং গ্রিজার এর থার্মোস্টস সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়, গ্রিজারের থার্মোস্টস সিস্টেম কাজ করা বন্ধ হয়ে গেলে জল মাত্রাতিরিক্ত গরম হতে শুরু করে যারফলে গরম জলীয় বাষ্পের দ্বারা একটি চাপের সৃষ্টি হয়। এই চাপ অতিরিক্ত তৈরীর কারণে বিস্ফোরণ ঘটায় যার ফলে একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে এই মারাত্মক দুর্ঘটনার কবল থেকে যদি রক্ষা পেতে চান তাহলে কিছু সহজ উপায় মেনে চলতে হবে
প্রথমত সবচেয়ে সহজ উপায় হলো যদি এটি কাজে না লাগে তাহলে এটিকে বন্ধ রাখুন অযথা চালিয়ে রাখবেন না। যারফলে উচ্চচাপ বা অতিরিক্ত গরম এর সমস্যাও থাকবে না।
বিস্ফোরণ থেকে আপনার গ্রিজারকে দূরে রাখার দ্বিতীয় উপায় হলো তাপমাত্রা কম রাখা , যদি সম্ভব হয় গ্রিজার এর তাপমাত্রা ৫০⁰ থেকে ৬০⁰তে রাখার চেষ্টা করুন তাহলে আপনার গ্রিজার বিস্ফোরণএর ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকবে।
বিস্ফোরণ থেকে আপনার গ্রিজারকে দূরে রাখার তৃতীয় উপায় হলো আপনার গরম জলের পাইপ গুলি অন্তরোধ করা যারফলে অতি অল্পসময়ে আপনার জল ভালোভাবে গরম করবে এবং এর ফলে আপনার কম বিদ্যুৎ খরচ হবে।
চতুর্থ উপায় ও সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল নিয়মিত গ্রিজার এর ভালভ পরীক্ষা করা। প্রত্যেক গ্রিজার এ একটি ভালভ থাকে যা গ্রিজারের চাপ নিয়ন্ত্রিত করে তাই নিয়মিত এই ভালভ আর পরীক্ষা করা উচিত কারন গ্রিজারের চাপ তখনই বৃদ্ধি পায় যখন এই ভালভ এ ত্রুটি দেখা যায়। তাই যদি কোনো ত্রুটি দেখতে পান অবশ্যই এটি বদলানোর চেষ্টা করুন।
গ্রিজার গ্যাস লিক এই বিষয়টিও খুব বিপদজনক হতে পারে আপনার যদি গ্যাস গ্রিজার থাকে তাহলে সময় সময় এটিকে পরীক্ষা করুন। আপনি যদি আপনার বাথরুমে পঁচা ডিমের মত গন্ধ পান তাহলে গ্যাস লিক হচ্ছে বুঝতে হবে তাই এই গন্ধ আসার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করুন যদি সম্ভব হয় বাড়ীর দরজা জানালা খুলে দিন এবং দ্রুত এটি মেরামতের ব্যবস্থা করুন।