“Saraswati Puja 2025” কেউ বলছেন ২রা ফেব্রুয়ারি রবিবার তো কেউ বলছেন ৩রা ফেব্রুয়ারি সোমবার। জানেন বেণীমাধব শিলের পঞ্জিকা অনুসারে আসলেই কবে পালন করা উচিত ২০২৫ সালের সরস্বতী পূজো ?
এবারের সরস্বতী পুজোর শুভ সময় কিন্তু পড়েছে একেবারে অসময়ে, এই সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে অঞ্জলি।
কতক্ষণ থাকছে এই বছরের সরস্বতী পুজোর পঞ্চমী তিথি? কখন লেগেছে ও কখন ছেড়েছে এবারের সরস্বতী পুজোর পঞ্চমী তিথি? সাথে জানুন সরস্বতী পুজোর ধ্যান-প্রনাম মন্ত্র ও পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র। সাথে কোথাও লিখে রাখুন যে এই ছোট্ট মা সরস্বতীর মন্ত্রটি রোজ অন্তত একবার উচ্চারণ করলে অনেকটা সন্তানের স্মৃতিশক্তি!
দূর্গা পূজো, কালীপূজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোও শেষ হয়ে গেল। এখন নতুন বছর আসলেই সরস্বতী পুজোর উন্মাদনা। এই পুজোর জন্যই গোটা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা। শীতকালে বাগ দেবীর আরাধনাকে কেন্দ্র করেই মেতে উঠে বাচ্চারা। হিন্দুধর্মে দেবী সরস্বতীকে জ্ঞান, সঙ্গীত এবং শিল্পকলার প্রতীক বলে মনে করা হয়। তাই প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপঞ্চমী তিথিতে মা সরস্বতীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। আবার আজকাল কার এই বিশেষ দিনটি বাঙালিদের নাকি ভ্যালেন্টাইনস ডে বলে পরিচিত।
১) সরস্বতী পুজোর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র:-
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে কুচযুগ-শোভিত মুক্তাহারে।
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোঽস্তুতে।।
নমঃ সরস্বত্যৈ নমো নমঃ নিত্যং ভদ্রকাল্যৈ নমো নমঃ। বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ।।
এষ সচন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বত্যৈ নমঃ।।
এই মন্ত্রে তিনবার অঞ্জলি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
২) সরস্বতী পুজোর প্রণাম মন্ত্র:-
নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল-লোচনে।
বিশ্বরুপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি নমোঽস্তুতে।।
জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগ-শোভিত মুক্তাহারে।
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোঽস্তুতে।।
৩) কবে পড়েছে ২০২৫ সালের সরস্বতী পুজো? :-
নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বসন্ত পঞ্চমী তিথি শুরু হচ্ছে ২রা ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ১৯শে মাঘ রবিবার দুপুর ১২টা বেজে ১৪ মিনিটে এবং এই তিথি শেষ হবে পরের দিন অর্থাৎ ৩রা ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৯টা বেজে ৫৯ মিনিটে। যেহেতু এবার দু দিনই তিথি থাকছে তাই চাইলে রবিবার কিংবা সোমবার উভয় দিনেই বাগ দেবীর আরাধনা করা যেতে পারে। তবে শাস্ত্র অনুযায়ী মূলত শেষের তিথিটি অর্থাৎ ৩রা ফেব্রুয়ারি সোমবার পালিত হবে সরস্বতী পুজো। এই দিন অঞ্জলি দেওয়ার শুভ সময় হল সকাল ৬টা বেজে ৪৫ মিনিট থেকে ৮টা বেজে ৩০ মিনিটের মধ্যে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই পুজো করার সময় সকলেই সকাল থেকে উপোস করে দেবীর আরাধনা করে থাকে। বিশেষত এই পুজো করতে গেলে লাগে খাতা, কলম, পলাশ ফুল, বই, বাদ্যযন্ত্র, গাঁদা ফুল, মালা, মিষ্টি, দই ইত্যাদি। এগুলো দিয়েই পুজো করেন পড়ুয়ারা।
বলা হয় সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই, অঞ্জলি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সেই পুজোর কুল খেয়ে তবেই কিন্তু কুল খাওয়া শুরু করে। এই রীতি কিন্তু আজ থেকে নয় বহুদিন ধরে চলে আসছে।
বিদ্যা-বুদ্ধি এবং জ্ঞানলাভের জন্য মা সরস্বতীকে তুষ্ট করতে কোন মন্ত্র প্রতিদিন পাঠ করা উচিত?
শাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেক দেবদেবীকে তুষ্ট করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট মন্ত্র রয়েছে। মা সরস্বতীকে তুষ্ট করতে হলেও শিক্ষার্থীদের একটি বিশেষ মন্ত্র জব করতে হবে, বলা হয় প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুদ্ধ বস্ত্রে যদি অন্তত পক্ষে ২১ বার এই মন্ত্রটি জব করা যায়। তাহলে একদিকে যেমন সমস্ত বাধা বিপত্তি কেটে যায় ঠিক তেমন ভাবেই বিদ্যা বুদ্ধি এবং জ্ঞানলাভের মাধ্যমেও উন্নত হয় জীবন।।