Post office scheme:- দিনে কেবলমাত্র ৫০ টাকা জমিয়ে অর্থাৎ মাসে মাত্র ১৫০০ টাকা মাসিক বিনিয়োগ করেই পেয়ে যান ৩৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন!
পোস্ট অফিসের এই স্কিমের কথা অনেকেই জানেন না, তাই টাকাও বিনিয়োগ করতে পারেন না। কিন্তু আর চিন্তা নয় এবার জেনে নিন পোস্ট অফিসের এই চোখ ধাঁধানো স্কিমের খুঁটিনাটি সবকিছু, আর আজই জমাতে থাকুন ৫০ টাকা করে।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল ভারত। কিন্তু আজও দেশের কোটি কোটি মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে বাস করেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রামের বাসিন্দা তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য পোস্ট অফিসে চালু করা হয়েছে একাধিক স্কিম, এর মধ্যে গ্রাম সুরক্ষা যোজনা অন্যতম। ১৯ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী যে কোনও ব্যক্তি গ্রাম সুরক্ষা যোজনা স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন।
সর্বনিম্ন বীমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা। বিনিয়োগকারী মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম জমা দিতে পারেন। যদি কোনো ব্যক্তির গ্রাম সুরক্ষা যোজনা স্কিমে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা অর্থাৎ দৈনিক ৫০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে মেয়াদ পূর্তিতে তিনি ৩৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাবেন। ১৯ বছর বয়সে যদি কেউ ১০ লক্ষ টাকার বীমা কেনেন তাহলে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁকে প্রতি মাসে ১৫১৫ টাকার প্রিমিয়াম দিতে হবে। একইভাবে ৫৮ বছরের জন্য প্রতি মাসে ১৪৬৩ টাকা এবং ৬০ বছরের জন্য ১৪১১ টাকা করে জমা করতে হবে। পোস্ট অফিসে গ্রামীণ ডাকজীবন বীমা প্রকল্পের আওতায় গ্রাম সুরক্ষা যোজনা স্কিম পরিচালিত হয়। এই স্কিমে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা বিনিয়োগ করে ৩৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। গ্রামের দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য বিশেষভাবে এই স্কিমে ডিজাইন করা হয়েছে। গ্রাম সুরক্ষা যোজনা স্কিমে বিনিয়োগ করলে ঋণ পাওয়া যায়। তবে এর জন্য ৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়, বিনিয়োগকারী চাইলে পলিসি শুরু হওয়ার তারিখ থেকে ৩ বছর পর পলিসি সারেন্ডারও করতে পারেন। টানা ৫ বছর বিনিয়োগ করলে বোনাসও পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারীর ৮০ বছর বয়সে পলিসির সম্পূর্ণ পরিমাণ অর্থাৎ ৩৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
তবে প্রয়োজনে ম্যাচুরিটির টাকা আগেও দাবি করতে পারেন বিনিয়োগকারী। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পোস্ট অফিসের নিয়ম অনুযায়ী, ৫৫ বছরের বিনিয়োগে ৩১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, ৫৮ বছরের বিনিয়োগে ৩৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং ৬০ বছরের মেয়াদ পূর্তিতে ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।