‘Kidney stone’
‘স্বাস্থ্যই সম্পদ‘ স্বাস্থ্য সুন্দর থাকলে ভবিষ্যৎ নিশ্চিত থাকে কিন্তু বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি ও কাজের চাপে আমারা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে অনিশ্চিত থাকি। আমাদের শরীরের অঙ্গ এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের কিডনি আর এই কিডনি কতটা সুস্থ বা কতটা অসুস্থ তা বুঝবেন কী করে ? আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে বুঝে নিতে চলেছি।
কিডনি তে পাথর হওয়ার কারণ কী ?
কিডনিতে পাথর হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করা এর নেপথ্যে।
১. ডিহাইড্রেশন – জল বা জলজাতিও খাদ্য শরীরে কম গেলে মূত্র ঘন হয়ে যায়। কখনও কখনও তার রং হলুদ হয়। পাথর হওয়ার আশঙ্খা থাকে এক্ষেত্রে।
২. ডায়েটারি ফ্যাক্টর – আমাদের খাওয়ারে অক্সালেট, সোডিয়াম ও প্রাণীজ প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে পাথর হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৩. ক্যালসিয়াম লেভেল – আপনার মূত্রে ক্যালসিয়ামের মাত্রা যদি কম থাকে সে ক্ষেত্রে পাথর হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৪. জেনেটিক প্রিডিসপোসিসন – কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ হল বংশগত। পরিবারের কারোর কিডনিতে পাথর হওয়ার ইতিহাস থাকলে সাবধান থাকা উচিত। এক্ষেত্রেও বিপদের আশঙ্খা থাকে।
কিডনিতে পাথর এর লক্ষণ গুলো কি কি?
কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রথম লক্ষণ হল কোমরে ব্যথা। শুধু কোমোরেই না, তার সঙ্গে তলপেটে, কুঁচকিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। অনেক সময় মূত্রের সাথে রক্ত বের হতে থাকে, ঘনঘন প্রস্রাব হয় এবং প্রসাব এর সাথে কখনও কখনও জ্বালা হতে থাকে। সেই সঙ্গে খুব দুর্গন্ধ হয় প্রসাবের আবার সংক্রমন থাকলে বমিভাব, গার গুলিয়ে ওঠা খুব মাথা ব্যাথা , জ্বর হয়। পাথরের আকার বড় হলে সেটি ইউরিন ট্যাংক এর পথে বাধা সৃষ্টি করে ফলে মারাত্বক ব্যথার সৃষ্টি হয়।
কিডনির পাথর নিরাময় এর উপায় কী ?
পাথরের আকার, গঠন ও লক্ষণ একিরকম হয়না তার মধ্যে ফারাক থাকে এর ওপর নির্ভর করে কিডনির পাথরের চিকিৎসা। ছোট পাথর হলে অর্বেদিক চিকিৎসা ও অতিরিক্ত জলপানের মাধ্যমে মূত্রের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু বড় পাথর এর ক্ষেত্রে প্রচণ্ড ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে দূত্র অস্ত্রপ্রচারের প্রয়োজন।