“Healthy lifestyle”খেতে বসে কঠোর ভাবে মেনে চলুন ৫টি সহজ নিয়ম। ভবিষ্যতে আপনাকে সুগার থেকে শুরু করে হার্টের কোনো রোগ বা হাই প্রেসার কোনোদিনও কোনো রোগই ছুঁতে পর্যন্ত পারবে না।
খাবার খেতে খেতে নাকি খাবার আগে বা পরে কখন জল খেলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা হয় জানেন?
সম্পূর্ণ রোগমুক্ত থাকার ৫টি দারুণ নিয়মের কথা বলছেন গৌতম বুদ্ধ।
নিজেকে জরা ব্যাধি থেকে একদম সম্পূর্ণ মুক্ত রাখার জন্য কিভাবে মেনে চলবেন এই সহজ কয়েকটি নিয়ম? দেখুন,
আমাদের শরীরে সমস্ত শক্তি আসে খাবার থেকে। আবার এই খাবারের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে রোগ ব্যাধির কারণ। শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং সম্পূর্ণ রোগমুক্ত থাকার জন্য খাবার গ্রহনের ক্ষেত্রে ৫টি নিয়মের কথা উল্লেখ করেছিলেন বুদ্ধদেব।
চলুন আর সময় নষ্ট না করে সেই নিয়মগুলি জেনে নেওয়া যাক, হয়তো এই নিয়মগুলি আমাদের জীবন থেকে সকল রোগব্যাধি গায়েব করে দিতে পারে।
১) খাবার গ্রহনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নিয়ম জানুন,
বুদ্ধদেব বলছেন খাবার গ্রহনের সময় অবশ্যই সেটিকে খুব ভালোভাবে মুখের মধ্যে চিবিয়ে নিতে হবে। যাতে সেটি পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই অর্ধেক হজম হয়ে যায়। খাবার সময় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। খাবার মুখে নিয়ে তা খুব ধীরে ধীরে আগে চিবোনো উচিত খুব ধীরে ধীরে অনেকবার চিবিয়ে সেটি যখন লালারসের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছায় তখন এই খাবার প্রায় অর্ধেকটাই হজম হয়ে যায়।
এতে হজম বা গ্যাসের সমস্যা হবে না কোনোদিনও।
২) খাবার সময়ে জল খাবেন যেভাবে
অর্থাৎ খাওয়ার আগে নাকি খাওয়ার পরে কখন জল খেলে পাবেন দ্বিগুণ উপকার। খাওয়ার সময়ে কখনোই জল খাওয়া ঠিক নয়। কারণ খাবারের সঙ্গে জল খাওয়ার অভ্যাস পাকস্থলীর হজম ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে, ইনসুলিনের মাত্রা ওঠা নামা করে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পরে জল পান করতে পারেন, এর ফলে শরীরে খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি শোষণ করতে পারবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল খাওয়া ভীষণ জরুরি। সারাদিনে চনমনে থাকতে এই অভ্যাস ধারাবাহিক ভাবে বজায় রাখতে পারলে আরও ভালো হয়। আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন খাওয়ার একদম আগে পরে বা খাওয়ার সময়ে অল্প অল্প করে জল পান করতে থাকেন। আর তাতেই সমস্যার ফাঁদে পড়েন কারণ এই সময়ে জল পান করলে পেটে উপস্থিত অ্যাসিড নিজের কাজটি ঠিকমত করতে পারেনা। ফলে খাবার সহজে হজম হতে চায় না আর এই কারণে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম সহ একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কিন্তু বেড়ে যায়। সুতরাং সাবধান হন যদি বাইরে বেড়িয়ে জল পান করার প্রয়োজন পরে সেক্ষেত্রে দোকান থেকে সিল করা জলের বোতল কিনে নিয়ে সেই জল পান করুন।
এই কাজটা করলে কিছুটা হলেও সেফ থাকতে পারবেন আপনি।
৩) কৃপা ভাব তৈরি করুন।
ভোজন গ্রহণ করার সময় অতি অবশ্যই আপনাকে সেই খাবারটির প্রতি কৃপা ভাবও তৈরি করতে হবে। কারণ ভোজনের প্রতি ধন্যবাদ ব্যক্ত করলে মনে প্রেমের উদয় হয়। আমাদের শরীর নিজে নিজেই গ্রহণ শীল হয়ে ওঠে ফলে যেকোনো শারীরিক সমস্যাই সহজেই গায়েব হয়ে যায় দেহ থেকে।
সাথেই খাবার গ্রহনের আগে অবশ্যই প্রনাম করে খাবার গ্রহন করতে পারেন।
৪) সূর্যাস্তের পর কখনোই ভোজন করবেন না।
শুধুমাত্র মহামুনি বুদ্ধদেব ও নয় আমাদের হিন্দুধর্মীয় প্রাচীন শাস্ত্রেও এই বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। সূর্যাস্তের আগে ভোজন করলে আমাদের শরীর সাথে সাথেই তা হজম করার কাজে লেগে পরে। তবে রাতের বেলা সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই কোনো কাজ তেমন করে থাকে না, তাই খাবারও হজম হতে পারে না ঠিকভাবে, ফলস্বরূপ নানান রকমের ভয়াবহ রোগব্যাধি কিন্তু বাসা বাঁধে শরীরে।
৫) খাবার বানানোর সঠিক পদ্ধতি,
যেকোনো খাবারের ক্ষেত্রে তা কীভাবে বানানো হচ্ছে তা অতি অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। গৌতম বুদ্ধ বলছেন যদি কোনো ব্যক্তি খাবার তৈরি করার সময় মনে রাগ এবং ঘৃনার ভাবনা রাখেন তাহলে সেই ধরনের গুন খাবারে সম্মিলিত হয়ে পড়ে। ফলে শরীরের পক্ষেও সেটা ভালো প্রভাব ফেলে না।
খাবার তৈরি করার সময় সবসময় মনে প্রেম এবং স্নেহের প্রকাশ থাকা উচিত।