itemtype="https://schema.org/Blog" itemscope>

“Girls protection” আপনার মেয়েকে বা বোনকে ছোট থেকে অবশ্যই শেখান এই কয়েকটি বিষয়। কেউ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারবেনা।

“Girls protection” আপনার বাড়িতে যদি মেয়ে, বোন বা দিদি থাকে। তাহলে এখনকার দিনে রাস্তায় চলাফেরা করার সময় অন্তত আপনার মেয়েকে বা বোনকে ছোট থেকে অবশ্যই শেখান এই কয়েকটি বিষয়। কেউ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারবেনা।

আপনার মেয়ে-বোন বা দিদি থাকলে সবসময় নিরাপত্তার খাতিরে অথবা সামাজিক মর্যাদা বজায় রাখতে অবশ্যই। জেনে রাখা উচিত এই কয়েকটি নিয়ম।

বর্তমানে কন্যা লালন পালনের জন্য বাবা মা-দের খুব সংবেদনশীল হতে হয় কারণ মেয়েদের জন্য সমাজে তৈরী হয়েছে অনেক নিয়ম যা কেবল পিতা-মাতাকেই বোঝাতে হয়। আপনি যদি কন্যা সন্তান এর মা বা বাবা হন তাহলে আপনি অবশ্যই জানেন একটি মেয়ে সন্তানকে বড় করা কতটা কঠিন। বিশেষ করে আজকাল কার সমাজে নারী নিরাপত্তার খাতিরে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা ছোট থেকে মেয়েদের ভালো ভাবে বোঝানো উচিত। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেব এমনি কয়েকটি নিয়মের কথা।

Girls protection

বাড়িতে ছোট্ট মেয়ে অথবা বোন থাকলে অবশ্যই তাদের এই নিয়ম গুলি বুঝিয়ে বলুন।

এতে একদিকে যেমন তারা সুরক্ষিত থাকবে অন্যদিকে আপনিও অভিভাবক হিসেবে আপনারও থাকতে পারবেন নিশ্চিন্তে।

১) মাটি থেকে কখনও কিছু তুলতে হলে অবশ্যই বুকের ওপর একহাত দিয়ে তারপর তুলতে যাবে। সতর্কতা স্বরূপ এটি অবশ্যই করা উচিত।

২) আপনার বাড়ির মেয়ে বা বোনকে ছোট থেকে ক্যারাটে শেখান। এতে তাদের মধ্যে ছোট থেকে আত্মরক্ষার কৌশল জানা থাকবে। এই আত্মরক্ষা যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

Girls protection

৩) পুরুষ মানুষের সামনে কখনও পায়ের ওপর পা তুলে বসবে না। দুই পাকে সবসময় মিলিয়ে বা খুব কাছে নিয়ে এসে বসা উচিত।

Girls protection

এছাড়াও অপরিচিত মানুষদের কাছে নিজের পরিচয় দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। স্যোশাল মিডিয়া হোক বা সামনা সামনি যতক্ষণ আমরা এই মানুষটিকে ভালো ভাবে চিনতে পারছি ততক্ষণ সম্পূর্ণ তথ্য তার হাতে তুলে দেওয়া উচিত নয়।

৪) লিফটে ওঠার সময় যদি অপরিচিত পুরুষমানুষ থাকে এবং তা যদি একজন হয় তাহলে লিফটে উঠবেন না। আজকালকার সমাজে নিরাপত্তার খাতিরে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু লিফটে নয় এটি যেকোনো নির্জন স্থানের জন্য প্রয়োজনীয়।

৪) কোনো প্রয়োজনে পুরুষমানুষের সাথে কথা বলতে হলে শারীরিক ভাবে যথেষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে কথা বলা উচিত। কারন সবার মন এতটা উদার হয় না। কোনো মেয়ে যদি বেশি ঘনিষ্টতা প্রদর্শন করে কথা বলে সেক্ষেত্রে অনেকেই মনে করতে পারে মেয়েটি অন্য কোনো ইশারা দিচ্ছে।

Girls protection

৬) নিকট আত্মীয় বা খুব কাছের লোক হলেও কাজকর্ম ও কথাবার্তায় সীমা বজায় রাখা উচিত কারন আজকাল সমাজে কাউকে বিশ্বাস করা যায় না। মনে রাখা দরকার বিশ্বাসঘাতকতার বেশির ভাগ ঘটনাটা কিন্তু কাছের মানুষের কাছ থেকেই ঘটে।

৭) বর্তমান সমাজে যেভাবে শীলতাহানী এবং ধর্ষনের মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে তাতে প্রতেকটা মেয়েকেই প্রতেকটা মুহূর্তে প্রস্তুত থাকা উচিত নিজেকে রক্ষা করার জন্য। তাই ছোট থেকে আপনার বাড়ির মেয়ে বোনকে এই বিষয়ে সতর্ক করুন।

Girls protection প্রয়োজন হলে পেপার স্পে থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোটখাটো অস্ত্রজাতীয় জিনিস তার সঙ্গে দিয়ে রাখুন। যাতে প্রয়োজনে সে নিজের আত্মরক্ষা নিজেই করতে পারে

Leave a Comment